লকডাউনে অর্থাভাবে সংকটে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস‍্যের পরিবারের পাশে রাজ‍্যের ক্রীড়ামন্ত্রী

8th April 2020 হুগলী
লকডাউনে অর্থাভাবে সংকটে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস‍্যের পরিবারের পাশে রাজ‍্যের ক্রীড়ামন্ত্রী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : লকডাউনের জেরে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের  সদস‍্যার অর্থভাবে কাটছে দিন। খবর পেয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা সরাসরি ফোন করেন সিঙ্গুরের বুড়াশান্তি গ্ৰামের মহিলা খেলোয়াড় পলি কোলেকে। মন্ত্রীর সহযোগীতায় সূদুর কলকাতা থেকে চাল,ডাল,তেল ,আলু পৌছে যায় খেলোয়াড়ের বাড়িতে। সেইসঙ্গে পলির একবছরের খাবারের  দায়িত্ব ও নিয়েছেন মন্ত্রী। সিঙ্গুরের বুড়োশান্তি গ্ৰাম থেকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ‍্যেদিয়ে বড়ো হয়েছে পলি কোলে। স্থানীয় এলাকাতেই  ছোট থেকে ফুটবল খেলা শুরু ।সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী মল্লিক গালর্স হাইস্কুল এ পড়াশোনা করতে  করতেই বাংলা অনূর্ধ দলে সুযোগ পান। পড়ে তার দুর্দান্ত খেলার সাফল‍্যে জাতীয় দলে ডাক পান। জাতীয় দলের হয়ে ইন্দোনেশিয়া, হংকং,সিঙ্গাপুরে খেলতে গিয়েছেন তিনি। গত বছর বাবা মারা যাবার পর একবার ই অর্থ পেয়েছিলেন সারা ভারত ফুটবল ফেডারশনের থেকে।তারপর থেকে পায়নি কোন টাকা ,এবং জাতীয় দলে খেলার সুবাদে পান নি কোন চাকরি।বাবা মারা গেছেন, মায়ের বয়স হয়েছে, দাদা বেসরকারী কোম্পানীর চুক্তিভিক্তিক শ্রমিক। নিদারুন কষ্টের মধ‍্যেই চলছে সংসার। রোজ ঠিক মতো জোটে না খাবার। এমনকি আজকে রান্না করার  মতোও ছিল না প্রয়োজনীয় রসদ।অভাবের কথা জানতে পেরে সাহায‍্যে  এগিয়ে আসেন ক্রীড়ামন্ত্রী।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।